বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৩১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন ড. ইউনূস ধান ক্ষেত থেকে অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার জমি নিয়ে বিরোধ; দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত দোকান বাকীর টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : বৃদ্ধ নিহত হবিগঞ্জে হত্যা মামলা, আ.লীগ সভাপতিসহ ২শ জন আসামি গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে শামীম ওসমান লুকিয়ে থাকার গুঞ্জন, তাল্লাশি শেষে যা বলছে পুলিশ নগদ দুই লাখ টাকার বেশি তোলা যাবে না এ সপ্তাহে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সারাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর গণভবনের মাছ-হাঁসও নিয়ে গেল জনতা, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার পতন, ছাড়লেন দেশ

নবীগঞ্জে সরকারি খাস জমি থেকে প্রভাবশালীদের মাটি বিক্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক : হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের চরগাঁও গ্রামের চত্রকোট মৌজার সরকারি খাস খতিয়ানের জমি ভোগ দখল ও জমির মাঠি বিক্রি করছে প্রভাবশালী মহল।

রোববার (০২ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের বন্যা নিয়ন্ত্রণ কুশিয়ারা বামবাঁধ নির্মাণ করার জন্য দীঘলবাক ইউনিয়নের চরগাঁও গ্রামের চত্রকোট মৌজার সরকারি খাস খতিয়ানের জমি থেকে মাটি বিক্রি করছে আজবার হোসেনের ছেলে জেবেল মিয়া ও মোশাহীদ মিয়া (মসু)।

স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, চরগাঁও গ্রামের আজবার হোসেনের ছেলে জেবেল মিয়া ও মোশাহীদ মিয়া (মসু) দীর্ঘদিন ধরে চত্রকোট মৌজার সরকারি খাস খতিয়ানের জমি কৌশলে ভোগ দখল করে আসছে। ইদানীং দখলদার আজবার হোসেনের ছেলে জেবেল মিয়া ও মোশাহীদ মিয়া (মসু) মাটি বিক্রি করছে। খাস জমির এসব মাটি ইনাতগঞ্জে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ কাজে লাগানো হচ্ছে।

এ ব্যপারে কুশিয়ারা বামবাঁধ নির্মাণে দায়ীত্বে থাকা পিআইসি’র সভাপতি ইউপি সদস্য আজির হাসান বলেন, আমরা কন্ট্রাক্টরের মাধ্যমে মাটি কিনে বেড়ীবাঁধ নির্মাণ করছি। কোথায় থেকে মাটি আসছে আমি জানিনা। ইনাতগঞ্জের মাটির কন্ট্রাক্টর মশাহীদ আলী মসু মিয়ার কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে চরগাঁও গ্রামের আজবার হোসেনের ছেলে তাদের জায়গা থেকে মাটি বিক্রি করছে। সরকারি খাস কি না আমার জানা নাই। আমি মাটি কিনে ব্যাবসা করছি।

স্থানীয় জনসাধারণ বলেন, এসব জায়গা কুশিয়ারা নদীর চর, সরকারি খাস জমি, কেউ এসব জমির মালিক নয়। ইনাতগঞ্জ ও দীঘলবাক ইউনিয়নের দায়ীত্বে থাকা তফসিল অফিসের সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম বলেন, খাস জমির মাটি বিক্রি করার জন্য কাউকে পারমিশন দেওয়া হয়নি। কে বা কারা খাস জমির মাটি বিক্রি করছে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বজলুর রশিদ বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী বেড়ীবাঁধ নির্মাণের জন্য পিআইসি মাটি কিনে বেড়ীবাঁধের কাজ করছেন।

চরগাঁও গ্রামের দখলদার আজবার হোসেনের ছেলেদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাদের ব্যবহৃত মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এলাকাবাসী এসব সরকারি খাস জমি দখলমুক্ত করে গরীব অসহায় ভুমিহীন মানুষের মধ্যে বন্টন করে দেওয়ার দাবী জানান।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com